নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি মার্ছা পরিবহনের ধাক্কায় মো. নুরুজ্জামান (২৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালী নতুন অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুজ্জামান পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। তিনি আলীকদম উপজেলা কৃষি অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র জানায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালী নতুন অফিস এলাকায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছিলেন কক্সবাজার অভিমুখি চকরিয়া সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহি বাস। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক মো. নুরুজ্জমান ওই বাসটিকে ওভারটেক করে যাওয়ার সময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা মার্চা পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুবক নুরুজ্জমান।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে তৎক্ষনাত পুলিশ সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে মার্ছা পরিবহনটিকে আটক করে। তবে চকরিয়া সার্ভিসের মালিক এসএ জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেন, যাত্রীবাহি মার্চা পরিবহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নুরুজ্জমান নিহত হলেও কতিপয় উশৃঙ্খল পরিবহণ শ্রমিকরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চকরিয়া সার্ভিসের বাসটিকে আটক করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোর্শেদুল আলম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, রবিবার সকালে চট্ট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালী নতুন অফিস এলাকায় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহতের ঘটনায় মার্ছা পরিবহনের একটি বাসকে আটক করা হয়েছে। পরে কতিপয় পরিবহণ শ্রমিক চকরিয়া সার্ভিসের অপর একটি বাসটিকেও আটক করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করে। এদিন বিকালে নিহত মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নুরুজ্জামানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে আটক বাস দুইটির ব্যাপারে পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: